আজকে আমরা জানবো ফেসবুক পিক্সেল রিটার্গেটিং কিভাবে কাজ করে?
ফেসবুক পিক্সেল হল ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টুল, যা আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করে এবং তাদেরকে পুনরায় টার্গেট করার সুযোগ করে দেয়। আপনি যদি আপনার ব্যবসার জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপন পরিচালনা করেন, তাহলে রিটার্গেটিং একটি শক্তিশালী কৌশল হতে পারে। চলুন জেনে নিই, ফেসবুক পিক্সেল রিটার্গেটিং কিভাবে কাজ করে।

ফেসবুক পিক্সেল কীভাবে কাজ করে?
প্রথমে আমরা জানবো ফেইসবুক কি এবং কিভাবে কাজ করে,
ফেইসবুক পিক্সেল হলো একটি ছোট জাভাস্ক্রিপ্ট কোড, যা আপনার ওয়েবসাইটে যুক্ত করা হয়। এটি ভিজিটরদের কার্যকলাপ ট্র্যাক করে এবং সেই ডেটা ফেসবুকে পাঠায়।
উদাহরণস্বরূপ:
কে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করেছে?
কোন পণ্যটি দেখেছে?
কোন পণ্যটি কার্টে যোগ করেছে?
কিন্তু চেকআউট সম্পন্ন করেনি।
এই তথ্যগুলো ব্যবহার করে ফেসবুক আপনাকে সেই ভিজিটরদের পুনরায় টার্গেট করার সুযোগ করে দেয়, যারা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করেছে কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাদেরকে আপনি বিভিন্ন ভাবে পুনুরায় টার্গেট করতে পারবেন। তাদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।
রিটার্গেটিং এর মূলধারা
রিটার্গেটিং মানে হলো আপনার আগ্রহী ভিজিটরদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া।

রিটার্গেটিং সাধারণত তিনটি ধাপে এটি কাজ করে:
ডেটা সংগ্রহ:
যখন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসে, ফেসবুক পিক্সেল তার কার্যকলাপ (যেমন Page Vieew, Add to Cart, and Checkout) ট্র্যাক করে।
অডিয়েন্স তৈরি করা:
ফেসবুক পিক্সেল সংগ্রহকৃত ডেটার মাধ্যমে আপনি একটি কাস্টম অডিয়েন্স তৈরি করে তাদেরকে আলাদা করতে পারবেন এবং তাদের কাছে আলাদা ভাবে অ্যাড দিতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি এমন একটি অডিয়েন্স তৈরি করতে পারবেন , যারা আপনার প্রোডাক্ট দেখেছে কিন্তু সে প্রোডাক্টটি ক্রয় করেনি।
রিটার্গেটিং বিজ্ঞাপন:
এই কাস্টম অডিয়েন্স ব্যবহার করে আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার ভিজিটরদের কাছে বিশেষ ভাবে আলাদা আলাদা অ্যাড দিতে পারবেন। এটি তাদেরকে মনে করিয়ে দিবে যে, তারা আগে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করেছে কিন্তু এখনো কিছু ক্রয় করেনি।
উদাহরণ,
ধরুন, একজন ক্রেতা আপনার ওয়েবসাইটে এসে একটি জুতা দেখেছে কিন্তু চেকআউট করেনি। ফেসবুক পিক্সেল সেই ডেটা সংরক্ষণ করে রাখে। আপনি পরে একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারেন, যেখানে সেই একই জুতার একটি ডিসকাউন্ট অফার দেখাতে পারেন। এই বিজ্ঞাপনটি তখন সেই ক্রেতার কাছে ফেসবুক দেখাবে যারা আপনার জুতা দেখেছে কিন্তু ক্রয় করেনি।
রিটার্গেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
কনভার্সন বাড়ায়: বেশিরভাগ ভিজিটর প্রথমবারে কোনো কেনাকাটা করেন না। রিটার্গেটিং করে তাদেরকে আবার মনে করিয়ে দিলে এবং তাদের কাছে পৌঁছালে তারা পুনরায় অর্ডার করতে পারে।
ব্র্যান্ড রিকল তৈরি করে: বারবার বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে ক্রেতার মনে আপনার ব্র্যান্ডের উপস্থিতি ধরে রাখা সম্ভব।
বিজ্ঞাপনের কার্যকারিতা বাড়ায়: শুধুমাত্র আগ্রহী ভিজিটরদের টার্গেট করার মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের কার্যকারিতা বাড়ানো যায়।
বিজ্ঞাপনের খরচ কমায়: শুধুমাত্র আগ্রহী ভিজিটরদের টার্গেট করার মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের খরচ কমায়।
এরকম আরো অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন দিয়ে তৈরি করা এই Sales Machine ইবুকটি আপনার জন্য হতে পারে একটি গেম চেঞ্জার। যা আপনার অনলাইন বিজনেসকে কয়েকগুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে হেল্প করবে 👇

রিটার্গেটিং সেটআপ করার জন্য কিছু টিপস
ফেসবুক পিক্সেল ঠিকভাবে ইনস্টল করুন: পিক্সেল আপনার ওয়েবসাইটে সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা চেক করতে ফেসবুকের Pixel Helper টুল ব্যবহার করুন।
কাস্টম অডিয়েন্স তৈরি করুন: ভিজিটরদের কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের অডিয়েন্স তৈরি করুন।
ডায়নামিক অ্যাড ব্যবহার করুন: ফেসবুক ডায়নামিক অ্যাড ব্যবহার করলে ভিজিটরদের দেখানো বিজ্ঞাপন স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের কার্যকলাপ অনুযায়ী ফেইসবুক তাকে সেটা দেখায়।
অফার বা ডিসকাউন্ট যোগ করুন: বিশেষ অফার বা ডিসকাউন্ট রিটার্গেটিং বিজ্ঞাপনে আরও কার্যকর প্রভাব ফেলতে পারে।
সঠিক ভাবে পিক্সেল সেটআপ করতে এই ভিডিওটি দেখুন 👇
মূল মন্তব্য:
ফেসবুক পিক্সেল রিটার্গেটিং এমন একটি কৌশল, যা আপনার ব্যবসার বিক্রয় বৃদ্ধি করতে পারে। এটি শুধু আগ্রহী ভিজিটরদের টার্গেট করেই নয়, বরং তাদের কাস্টমারে পরিণত করতেও সাহায্য করে। তাই সঠিকভাবে পিক্সেল সেটআপ করুন, রিটার্গেটিং বিজ্ঞাপন তৈরি করুন, এবং আপনার ব্যবসার গ্রো করুন।
তবে এই সকল বিষয় গুলো করতে আপনাকে হেল্প করবে একটি ওয়েবসাইট। তাই আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজন একটি বিজনেস ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট।
একটি বিজনেস ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি করে বিজনেস বৃদ্ধি করতে এখনই ফাস্ট আইটি কেয়ার এর সাথে যোগাযোগ করুন। এই বিষয়ে আমরা আপনাকে সর্বোচ্চ হেল্প করতে প্রতিস্রুতি বদ্ধ।
আপনি আপনার ব্যবসার জন্য কোন ধরণের রিটার্গেটিং কৌশল ব্যবহার করেছেন? আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করুন